Thursday 24 December 2015

SENIOR CITIZEN VILLAGE

সিনিয়ার সিটিজেন ভিলেজ – একটি সম্ভাবনা

    ২০১১ সালের ভারতীয় জনগননা অনুসারে ভারতবর্ষে ৬০ বছরের  উর্দ্ধে বয়স্ক ব্যক্তিদের সংখ্যা ৯.৩ কোটি, যা ২০১১ সালে ১৪.৩ কোটিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতবর্ষে দৈনিক ১৭,০০০ ব্যক্তি ৬০ বছরে পা দিচ্ছেন। প্রবীণ ব্যক্তিদের জনসংখ্যার ৯.৩ কোটির মধ্যে ৩ কোটি বাস করেন শহরে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, এই সব মানুষের বিশেষত শহুরে প্রবীণদের বাসস্থান একটা বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যা সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে (যথা ইউনাইটেড নেশনস) যথেষ্ট ভাবনায় ফেলেছেএবারে প্রশ্ন এই সব মানুষগুলি ৬০ বছর হওয়ার আগে কি তাহলে গাছতলায় ছিলেন? ঘটানাটা হল, এখনকার যুগে প্রত্যেকের সন্তান সংখ্যা ১টি বা ২টি হওয়াতে এবং তাঁরা উচ্চশিক্ষিত হওয়াতে তাঁরা বেশিরভাগ সময়ে চাকুরিসূত্রে বাবা-মাকে ফেলে রেখে বাইরে থাকতে বাধ্য হন। এইভাবেই কাছাকাছি থাকা কর্মক্ষম নিকটাত্মীয়ের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। একটা বয়েসের পর মানুষকে অন্যের সাহায্য নিয়ে বাঁচতেই হয়। হিসেব অনুসারে একটা হাউসিং কমপ্লেক্স ৩০ বছরের বেশি পুরনো হলে সেটি নিজেই একটা প্রবীণ মানুষ জনের আবাসনে পরিনত হয়। উদাহরণ স্বরূপ, সল্ট লেক, যেখানে ঘরে ঘরে প্রবীণ মানুষ, আর যুবকেরা ভালো কেরিয়ারের দরুণ চাকরী সূত্রে বিদেশে বা রাজ্যের বাইরে অর্থাৎ এককথায় ঘর ছাড়া। তাহলে ঘরের নিত্যনৈমিত্তিক কাজগুলো, যেমন বাজার করা, ইলেকট্রিক বিল দেওয়া,  ব্যাঙ্কে যাওয়া, ট্যাক্স দেওয়া, কে করবে? সেই বৃদ্ধ মানুষটিই। আর তিনি যদি স্ত্রী রেখে মারা যান, তাহলে তো প্রবীণার অবস্থাটা বুঝতেই পারছেন? আপনারা খবরের কাগজে প্রায়ই পড়ছেন – একা ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা খুন বা রাহাজানি। এই অবস্থায় দুটো উপায় থাকে। এক হচ্ছে, সাপোর্ট সার্ভিস অর্থাৎ কোন সংস্থা আপনার এই কাজগুলো করে দিল – আমাদের দেশে নতুন কন্সেপ্ট। কলকাতায় সবে চালু হয়েছে। যদিও এই ব্যবস্থা সব কিছু সুরাহা করতে পারেনা। দুই হল, কোন বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে থাকা। কোন মানদন্ডের তোয়াক্কা না করেই চারদিকে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে, যার বেশীরভাগই ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তৈরী। বৃদ্ধাশ্রম হল কমিউনিটি লিভিং, যেখানে একই বয়সের মানুষ এক জায়গায় বাস করবেন এবং বেঁচে থাকার উপকরণগুলি সঠিকভাবে পাবেন। প্রশ্ন হল, এই উপকরণগুলি তাঁরা এই সব জায়গায় পাচ্ছেন কি?
    এবারে কিছু মানুষের কথা বলি, যারা এ রাজ্যের বা দেশের বাইরে চাকরীসূত্রে অন্তত ৩০ বছর বাস করছেন, এখন প্রবীণ। এই মানুষগুলি কিছু সেন্টিমেন্ট থাকার দরুণ দেশে ফিরে বাংলার মাটিতে শেষ জীবনটা কাটাতে চাইছেন।  এঁরা কিন্তু ফিরতে পারছেন না। কেন না, তাঁর দেশ বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন করে ফ্ল্যাট কিনে একা একা বাস করার সাহস সঞ্চয় করতে পারছেন না। তাছাড়া, এত দিন যে সুবিধা নিয়ে বাস করছিলেন সেটাও বাংলায় অপ্রতুল, অথচ বাংলাকে ভালবেসে বাংলার মাটিতে মরতে চাইছেন।
    সিনিয়ার সিটিজেন ভিলেজ – এই কথাটাও নতুন নয়। তাহলে আমরা কি নতুন করছি যার জন্য এই প্রবন্ধের অবতারনা?
    সম্পূর্ণ অব্যবসায়িক ভিত্তিতে নিরিবিলি দূষণহীন কোন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে শুধুমাত্র প্রবীণদের জন্য সর্বসুবিধাযুক্ত একটা গ্রাম। সে জায়গাটা অযোধ্যা পাহাড়ের (পুরুলিয়া) মাথায় হতে পারে, বা কোন নদীর ধারে, বা একবারেই কোন প্রত্যন্ত গ্রামে। অথচ ভিলেজ থেকে খুব সহজেই নিজেদের গাড়ী করে হাসপাতাল বা শহরে পৌঁছনো যেতে পারে। এই গ্রামে থাকবে ছোট ছোট কিচেনেট সহ, লন সহ কটেজ এবং বড় বিল্ডিং-এ আলাদা আলাদা ঘর (লাগোয়া বাথরুমসহ) বা শেয়ারিং রুম, সুইমিংপুল সহ ক্লাব হাউস, গেস্ট হাউস, টেনিস লন, লাইব্রেরী, জিমনাসিয়াম, অডিটোরিয়াম,  ওপেন এয়ার থিয়েটার, ইন্টারনেট পার্লার, চিল্ড্রেন পার্ক, জেনারেল স্টোর, এমারজেন্সি রুম সহ ক্লিনিক, ফিজিওথেরাপিস্ট, লন্ড্রি, জেনারেল কিচেন, ২৪ ঘন্টা কেয়ার প্রোভাইডার, মেডিটেশন রুম, জেরন্টলজি ইন্সটিটিউট এবং যদি পারা যায় একটি এটিএম (এটি গ্রামের মানুষজনও ব্যবহার করবেন)। এই কটেজ বা রুম আপনারা কিনতে পারেন, যেখানে আপনি নিজে রান্না করে খেতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে জেনারেল কিচেনে খাবারের অর্ডার করতে পারেন। আবার ডিপোজিটের মাধ্যমে রুম ভাড়াও নেওয়া যেতে পারে। অবশ্য এই ধরণের ব্যক্তিদের রান্না করে খাওয়ার কোন ব্যবস্থা থাকবে না। একটু অন্যরকম প্রবীণদের কথাও আমরা মাথায় রেখেছি। শয্যাশায়ী, মৃত্যুপথযাত্রী, মানসিক প্রতিবন্ধী (মেন্টাল রিটারডেড), মানসিক রুগী, শারিরীক প্রতিবন্ধী প্রবীণরাও থাকার সুযোগ পাবেন। তবে এঁদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড বা বিল্ডিং তৈরী হবে।  বয়স্ক মানুষ এখানে স্বল্প সময়ের জন্যও এসে থাকতে পারেন, যাকে বলা হয় ‘শর্ট স্টে হোম’। আবাসিকদের আত্মীয়-স্বজনতো এসে থাকতেই পারেন গেস্ট হাউসে। এলাকার দুঃস্থ প্রবীণ যারা আর অর্থ রোজগারের উপযোগী নেই তাঁদের জন্য ‘ডে কেয়ার সেন্টার’-এর মাধ্যমে, মশলাপাতি বানানোর মাধ্যমে কিছু রোজগারের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবা হচ্ছে। যদি সম্ভব হয় তাহলে দুঃস্থ বিধবাদের জন্য নিখরচায় থাকার ব্যবস্থা। দুঃস্থ প্রবীণদের নিয়ে এই ধরনের কাজ ভারত সরকারের গ্রান্ট-ইন-এইড প্রজেক্টের আওতায় করলে সরকারী অর্থ সাহায্য পাওয়া যাবে। তবে ঘর-বাড়ি বানানোর খরচ আমাদেরকে বহন করতে হবে। আমাদের সংস্থায় প্রধানত কাজ পাবেন নিকটবর্তী গ্রামগুলির মহিলারা এবং প্রতিবন্ধী্রা।    
    এবারে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কিত আমাদের ভাবনার কথা বলি। এটা বড় জরুরী; সবাই এটাই আগে জানতে চান। আমরা চেষ্টা করছি স্থানটি এমন ভাবে নির্বাচন করতে যাতে ১০০ কিমির মধ্যে বড়সড় হাসপাতাল, এয়ারপোর্ট এবং ৩০ কিমির মধ্যে রেলপথ বা হাইওয়ে যেন থাকে। আমাদের নিজস্ব গাড়ী ও অ্যাম্বুলেন্সতো থাকবেই। আমাদের ভেতরে নিজস্ব একটা চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। যথা অক্সিজেন, নেবুলাইজার, কার্ডিয়াক মনিটর সহ কয়েকটি বেড নিয়ে তৈরী এমারজেন্সী রুম। ভাবনায় আছে একটা ছোট হাসপাতালের, যেখানে আমাদের সভ্য ব্যতীত আশেপাশের গ্রামের মানুষজনও যাতে সুলভে চিকিৎসা পান। তবে এই ধরণের হাসপাতালকে স্বনির্ভর হতে হবে, না হলে চালানো মুস্কিল। এটা হতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের ভেতরের চিকিৎসা করার জন্য নিকটবর্তী কোন ডাক্তারবাবুর সাথে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও আমরা চাইছি দুইজন রিটায়ার্ড ডাক্তারবাবু, যারা ওখানে আবাসিক হবেন। তাঁরা অন্যান্য আবাসিকদের চিকিৎসা করার বিনিময়ে কটেজ কেনায় এবং মেন্টেনেন্স চার্জে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবেন। এরপরে আছে অ্যাম্বুলেন্স ও ২৮ ঘন্টার ড্রাইভার। ধরুণ আমাদের ভিলেজ অযোধ্যা পাহাড়েই হল। তাহলে একদম পাহাড়ের মাথায় সরকারী প্রাথমিক হাসপাতাল ছাড়া আশেপাশে হাসপাতাল বলতে গেলে পুরুলিয়ার সদর হাসপাতাল বা কিছু বেসরকারী হাসপাতাল যেগুলো ৪২ কিমি দূরে। মাত্র ৯৩ কিমি দূরে জামশেদপুর, যেখানে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ এবং দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল।
    প্রত্যন্ত গ্রামে থাকলে দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিষপত্রের অপ্রতুলতা থাকে। এর সমাধান করেছি ‘জেনারেল স্টোর’-এর মাধ্যমে। ভিলেজের সম্মুখভাগেই থাকবে একটা জেনারেল স্টোর। তার ভেতরে এবং বাইরে দুদিকেই থাকবে কাউন্টারবাইরেটা ব্যবহার করবে গ্রামবাসী, ভেতরেরটা আবাসিকেরা। গ্রামেরই কোন একটি শিক্ষিত দম্পতিকে এটি চালানোর ভার দেওয়া হবে। ঘর আমরাই বানিয়ে দেব এবং প্রাথমিকভাবে বিনাসুদে ফেরতযোগ্য পুঁজি হিসাবে কিছু টাকাও দেওয়া হবে। আপনি এখানে পাবেন মণিহারী, মুদি, সব্জী, রোজকার পোষাক (চাদর, গামছা, পাজামা ইত্যাদি) ও কিছু ওষুধপত্র (প্রেশার, ঘুম, সুগার, ব্যথা ইত্যাদি)। এর বাইরে কিছু লাগলে এনে দেওয়া হবে। হোম সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে।
    আরও ইচ্ছা ‘জেরন্টোলজি ইনস্টিটিউট’ তৈরী করা। যেখানে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ছাত্ররা আসবেন রিসার্চ করতে এবং আমরাও কাছাকাছি ছাত্রদের ‘কেয়ার গিভিং’-এর উপর ট্রেনিং দেব। ঠিকঠাক চালাতে পারলে এক্ষেত্রেও সরকারী সাহায্য পাব।
    এখানে বসবাস শুরু করলে আপনি সারাদিন কিভাবে কাটাবেন? শুধু শুয়ে শুয়ে, টিভি দেখে? আপনি আপনার লনে ফুলের বাগান করতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে আমাদের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলিতে অংশগ্রহন করতে পারেন, বিনামূল্যে দুঃস্থ ছাত্রদের পড়াতে বা কিছু শেখাতে পারেন, যেসব গ্রামের মহিলারা মাঠে-ঘাটে কাজে যান বা আমাদের এখানে কাজ করবেন তাদের সন্তানদের নয়ে ক্রেশ চালাতে পারেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামের প্রবীণদের নিয়মিত খোঁজখবর নিতে পারেন, ঘরে ঘরে গিয়ে স্যানিটরি এবং হাইজিন শিক্ষা দিতে পারেন। দেশকে ভালবাসলে, গ্রামের মানুষকে ভালবাসলে এরকম অনেক কিছু করার আছে। শেষ জীবনে অন্য স্বাদ। এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে ‘একটিভ এজিং’ বলে। গবেষনা বলছে মানুষের আয়ু এতে বাড়ে, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে।  
    আরো একটি কথা। যেহেতু আমাদের সংস্থা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী, তাই নির্দিষ্ট কোন ধর্মের স্থান এখানে থাকবে না। তবে একটি মেডিটেশন রুম থাকবে যেখানে বেদীতলে থাকবে সব ধর্মের প্রতীক। যে কোন আবাসিক নিজ ধর্মের চর্চা নিজের চার দেওয়ালের মধ্যে করতেই পারেন। 
    এত বড় কর্মকাণ্ডের টাকা-পয়সা কোথা থেকে আসবে? এটা গড়ে উঠবে সবার মিলিত প্রচেষ্টায়। আমরা প্রথমে একটি  অ্যাডভাইসারী কমিটি গড়ছি, যেখানে থাকবেন বেশ কিছু নাম করা স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব। যেমন, ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, ডিন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সমাজ সেবক ও একজন লোকাল ব্যক্তিত্ব। রাজ্যের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার দপ্তরকে জানিয়ে, নিয়মানুযায়ী  উকিল-চার্টার্ড আকাউন্ট্যান্ট নিয়োগ করে, প্রজেক্ট কস্টিং করে, প্রজেক্ট রিপোর্ট বানিয়ে, প্রেস কনফারেন্স ডাকা হবে ও বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তারপর ইনস্টলমেন্ট সিস্টেমে সম্ভাব্য আবাসিকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হবে। যেহেতু সম্পূর্ণভাবে  এটি একটি অব্যবসায়িক প্রচেষ্টা তাই আমাদের উদ্দেশ্য কত কম করচে ঘর-বাড়ি বানানো যায়। একটা আনুমানিক হিসাব বলছি। আমরা মোট ১০০টি কটেজের মধ্যে যদি প্রথম ৫০টি কটেজের (৪০০-৪৫০ স্কোঃ ফুঃ) দাম ৬ লক্ষ টাকা টাকা করে ধরি, তাহলে আমাদের প্রথম ধাপে অন্ততঃ ৩০ বিঘা জমি সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা বিঘা প্রতি দামে কিনতে হবে (জমিই আসল, এর দাম বেশী হলে প্রজেক্ট খরচ বেড়ে যাবে)। তারপর জমি ঘেরা, মোটামুটি ল্যান্ডস্কেপ করা, ইলেক্ট্রিসিটি ও জেনারেটারের ব্যবস্থা করা, ক্লিনিক, ক্লাব হাউস বানানো, একটি জিপ ও এ্যাম্বুলেন্স কেনা, জেনারেল কিচেন বানানো, জেনারেল স্টোর বানানো, মেডিটেশন রুম বানানো ও ৫০ট কটেজ বানানো। যাদবপুর ইউনিভার্সিটির অবসরপ্রাপ্ত এক প্রফেসর আর্কিটেক্ট কম খরচে বাড়ি বানানোর পরামর্শ দেবেন। আর এক ইঞ্জিনিয়ার যিনি রামকৃষ্ণ মিশন, ব্যপ্টিস্ট মিশনের বিল্ডিং ডিজাইন করেন, তিনিও সাথে আছেন। সম্ভাব্য আবাসিকেরা প্রথম ধাপে এক লক্ষ টাকা করে দেবেন, যা জমি কেনাতে খরচ হবে। জমি কেনার পর দলিল দেখে বাকী টাকা ধাপে ধাপে দেবেন। জমি সংস্থার নামে কেনা হবে। রেজিস্টার্ড চুক্তি অনুসারে প্রত্যেক টাকা প্রদানকারী ব্যক্তি সংস্থার সভ্য হবেন এবং জমিতে তাদের হক থাকবে। পরবর্তী ৫০টি কটেজ বেশী দামে দেওয়া হবে এবং সেই টাকা থেকে প্রথম ৫০ জন কটেজের মালিককে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তৈরী কটেজ প্রত্যেকের নামে বিক্রয় কোবালা করে দেওয়া হবে। তিনি ইচ্ছা করলে পরে এটা বিক্রয় করতে পারবেন। এখানে একটা কথা জানানোর আছে। পাহাড়ে আদিবাসীদের জমি কেনা যায় না, লিজে নিতে হয়। যদি লিজে জমি যোগাড় হয় তাহলে আবাসিকদের রি-লিজে কটেজ সহ জমি দেওয়া হবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি জমি কিনতে। সম্পত্তি বিক্রয়ের ব্যপারে কিছু কথা বলি। আপনি ইচ্ছা করলেই বিক্রি করে দিতে পারেন (রিয়েল এস্টেটের দর সব সময়েই বাড়ে), তবে সেটা কোন সিনিয়ার সিটিজেনকেই করতে হবে। যদি নিজে খুঁজে না পান তাহলে আমাদের লিস্ট থেকে পেয়ে যাবেন। দরদাম নিজেদের মধ্যেই ঠিক করতে হবে, সংস্থা এর মধ্যে নাক গলাবে না। তবে সংস্থা হাত বদলের সময় দু পক্ষ থেকে যৎসামান্য কিছু ফি নেবে। সভ্য মারা গেলে নমিনি কটেজের উত্তরাধিকার পাবেন। যদি নমিনি সিনিয়ার সিটিজেন না হন তাহলে উপরোক্ত নিয়মে কটেজটি বিক্রয় হয়ে যাবে এবং নমিনি টাকা ফেরত পায়ে যাবেন।
    উপরের ভাবনাটা যদি আপনাকে ভাবায় তাহলে আমরা কারা এবং আমাদের ইতিহাস কি এই সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করুন। এই ভাবনার সাথে নতুন কোন আইডিয়া যোগ করতে চাইলে সেটাও জানাতে পারেন। আমরা বিগত ছয় বৎসর যাবত শ্রীরামপুরে একটি শেল্টারড অ্যাকোমডেশন চালাচ্ছি। আমাদের ওয়েবসাইটে, ফেসবুকে আমাদের কাজকর্ম দেখুন, ভালো লাগলে একবার চোখের দেখা দেখতে,  সামনাসামনি কথা বলতে, ফোন করে চলে আসুন। সারাদিনের সাধারন খাওয়া-দাওয়া জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। পিজি হাসপাতাল থেকে ৩১ কিমি, ডানলপ থেকে ১৮ কিমি গাড়িতে। 
বিনীত
শ্রী অহিভূষণ চ্যাটারজী
০৩.০২.২০১৫                                                                                                                                    প্রেসিডেন্ট


THIKANA SHIMLA
Regn. No. S/1L/85111 of 2011-12, under Society Regn. Act
SENIOR CITIZEN CLUB WITH SHELTERED ACCOMMODATION
DELHI ROAD, SIMLA, SERAMPORE-712203
www.elderpeoplehome.org, www.facebook.com/thikanashimla, e mail: thikana_shimla@yahoo.co.in

M: 9 3 3 0 8 4 3 3 9 4

SENIOR CITIZEN TOUR 2016

রাঢ় বাংলায় কয়েকদিন
RARH BANGLAY KOYEKDIN

AN OUTSTANDING TOUR EXCLUSIVELY FOR THE SENIOR CITIZENS
Be young with hilarious mood for 5 days, we will take care of you

20th February - 25th February, 2016

In ancient Austric language Rarh means 'a land of red soil’.  It has a long history. The Rarh region was the part of the Maurya Empire that ruled from 321 to 185 BC. After its decline the Guptas took over. This empire existed approximately from 320 to 550 AD. After the downfall of Gupta Empire Birbhum was ruled by Sashanka in 7th century AD and also by King Harshavardhana. Sashanka’s coin was recovered from Pandu Rajar Dhipi. After the disintegration of Harsha's empire Birbhum was under the rule of Hindu-Buddhist dynasty of the Palas that ruled from 750–1174 CE. During the rule of the Pala dynasty Buddhism, particularly the Vajrayana cult, flourished here. Later Sena rulers took over the area. Pala kings had establishments in Sian, Gandharbapur, Nanagar, Rampur, Paikar etc.
FEATURES OF OUR TOUR: Operated by our professional team; non-commercial operation; backed by doctor and medical facilities (likely oxygen, ECG, nebulizer, emergency medicines); most of the food will be cooked by our own staffs using high grade materials; purified water for everybody; no walking – total site scene by car; sitting arrangement – by chair, even at site, Santal dance with wood fire in moonlight; Baul, Rabindra sangeet – programme at everyday evening; bonfire with cocktail (Vodka/ Whisky of renowned brand, 2 pegs/head) and wood fire roasted chicken, Lottery among the tourists.
PLACES OF ATTRACTION: Visvabharati, Sabuj bon, Santal palli, Srijani silpagram, Prakriti  bhaban, Khoai-kopai,  Nanoor (place of Poet Candidas), Fullara (one Saktipith), Lavpur (place of Tarashankar), Kankalitala (another Saktipith), Joydev-Kenduli, Nil nirjan (Bakreswar dam), Bakreswar temple (another Saktipith) and hot spring, Massanjore dam (a hilly area),  Brahma Upasana at Visvabharati Brahma Mandir.
TENTATIVE PROGRAM:



20.2.16
8.00 am
Reporting at THIKANA SHIMLA, health check up

9.00 am
Breakfast  at THIKANA SHIMLA

10.00 am
START for Shantiniketan destination.

1.30 pm
REACHING at BIRBHUM GUEST HOUSE

2.00 pm
Lunch at guest house

3.30 pm
Out for Sanibarer hat

6.00 pm
Santal dance at Santal village under a 30 ft. Buddha statue. High tea

8.30 pm
Dinner at guest house
21.2.16
6.30 am
High tea at room

8.00 am
Out for SABUJ BON (a private botanical garden)

9.00 am
Breakfast at Sabuj Bon

11.00 pm
Out for NANOOR (Chandidas)

1.30 pm
Lunch at FULLARA MANDIR – amish bhog at mandir

3.00 pm
Visiting the place of TARASHANKAR’S HOUSE (just beside Fullaratala)

5.00 pm
 KANKALITALA, tea

6.30 pm
At guest house: Live Rabindra sangeet program with Esraj and Perkason by local artists. High tea, then dinner
22.2.16
6.30 am
Tea at room

8.00 am
Out for JOYDEV-KENDULI. Packet Breakfast at car

12.30 pm
Lunch at NIL NIRJAN (Bakreswar dam)

2.00 pm
Out for BAKRESWAR TEMPLE AND HOT SPRING

4.30 pm
Reaching at MASSANJORE, tea

7.00 pm
At guest house: Baul gaan (Basudev Das Baul and his team), High tea then dinner
23.2.16
6.30 am
Tea at room

8.30 am
Breakfast at room

9.00 am
Out for SRIJANI SHILPAGRAM

11.30 am
Visiting PRAKRITI BHAVAN

1.00 pm
Lunch at guest house

3.30 pm
Out for VISVA BHARATI MUSEUM

5.30 pm
Local shopping

7.00 pm
At guest house: campfire, cocktail with roasted chicken, dinner. Feedback questionnaire distribution, dinner
24.2.16
5.00 am
Tea at room

5.30 am
Out for Brahma Upasana at KACHMANDIR

7.30 am
Visiting KOPAI RIVER,

9.00 am
Breakfast at guest house. Collection of filled up questionnaire

10.30 am
Out for THIKANA SHIMLA

2.00 pm
Lunch at THIKANA SHIMLA, thus END OF TOUR

SEATS: Strictly 30 senior citizens only.
COST: INR 4500 per head.  Members of THIKANA SHIMLA will not get any monetary benefit. Pricing is same to all.
SUPPORT STAFFS: 4 females, 3 males.
DOCTOR: Dr. Amitava De Sarkar with necessary emergency arrangement.
TRANSPORT:  5 Tata Sumo (Non-AC) – 6 persons each, 1 Maruti Eeco – for support staffs.
ACCOMMODATION: At Birbhum Guest House (Non-AC), Shyambati. Hot water available.
FOOD: Less oil, less spicy but mouth watering food made from high grade food materials will be served. We will try to serve diet for patients (likely diabetic diet etc). You can choice veg/ non veg option at the time of depositing money. No change of option can be entertained within the tour.
BOOKING METHOD: 
Booking: Members of THIKANA SHIMLA will get priority in booking. As there is a huge craze, please make application on plain paper or through mail (thikana_shimla@yahoo.co.in). Seats will be booked on first come first serve basis. You will not be asked for your money, it’s your duty; otherwise next person will get scope.  Money will be collected preferably through bank. Please ask for our bank data.
Cancellation: Only 50% will be refunded if cancelled on or before 31st January, 2016. No refund after that. Anybody, who is unable to go, may send any elder of either sex in exchange of him/her. However, if we can collect another person, 50% money will be refunded who cancelled after 31st Jan, 2016, but there is no guarantee. Cancellation money will be considered as surplus money. This money will be used in our Ambulance project.
PICK UP AND DROP FROM KOLKATA: if there are sufficient people, we may arrange car for pick up and drop from one point of Kolkata. This will be levied extra.
UPDATING OF INFORMATION: Please watch www.thikanashimla.blogspot.in regularly for latest information/ changes.
PLEASE NOTE: 1. To attend Brahma Upasana you have to wear WHITE DRESS. 2. Anybody does not want to attend any part of the schedule; he/she may stay at guest house. That’s time his/her food should be arranged by his/her own. Please ask guest house official before time. 3. No request will be entertained for personal room; however we will try to arrange same family persons in same room. 4. Time schedule may change due to unavoidable circumstances.



Pub 49, 20.12.15

Wednesday 18 November 2015

SENIOR CITIZEN PICNIC 2015



NAME OF THE PROGRAM
SENIOR CITIZEN PICNIC 2015 (SCP15)
DATE
20th December, 2015, Sunday
TIME
9 am to 4.30 pm
VENUE
Thikana Shimla premises
ACTIVITIES
Sports, extempore,  jokes competition, cultural performance, lottery etc.
Feel free to perform. Enjoy the day. Please keep in mind: you are chronologically aged, but not in mind. Give your mind a free space.

FOOD
Breakfast, Lunch, Evening tea with snacks. Cocktail will be served at breakfast time. 2 pegs of Vodka with fruits will be served per head. Soft drink is also available who don’t want to take hard drink. In lunch chicken dish will be served. However veg,, fish eater will be entertained. Please inform before ward.

COST
INR 350 per head for GUESTS. 
INR 245 (30% deduction) per head for NON-RESIDENTIAL MEMBERS.
INR 210 (40% deduction) for RESIDENTIAL MEMBERS.


BOOKING
Just confirm over telephone prior to 3 days of picnic. Payment (in cash only) can be made after appearance.
PLEASE NOTE
1. Only elder people can join the picnic. Age relaxation will be allowed to the spouse of elder people.
2. Non-elder companion, if any will not be allowed in program. However they will be served general meal in our kitchen after payment  according to our existing Rate Chart.
3.  Two separate common room for male and female will be provided for refreshing. 

CONTACT
M: 9330843394,  e mail: thikana_shimla@yahoo.co.in, info@elderpeoplehome.org
WEBSITES
Just click or copy-paste the above link to go to the desired sites.


 19.11.2015

Saturday 24 October 2015

SENIOR CITIZEN BEAUTY CONTEST AND ANNUAL GET TOGETHER 2015

SENIOR CITIZEN BEAUTY CONTEST
AND ANNUAL GET TOGETHER
8th November, 2015, Sunday, from 10 am
Venue: THIKANA SHIMLA RESIDENTIAL SENIOR CITIZEN CLUB
Delhi Road, Simla, Serampore-3, Hooghly , M: 9330843394 
Nearest Rly Stn: Serampore, Bus: 26A, 40, Bust Stop: Simla Power House
www.elderpeoplehome.org, www.facebook.com/thikanashimla,
 E mail: info@elderpeoplehome.org, thikana_shimla@yahoo.co.in

এই অনুষ্ঠানে যে কোন বয়সের ব্যক্তি অংশগ্রহণ করতে পারেন। আমাদের সংস্থার জন্মদিন উপলক্ষে এটি প্রত্যেক বছর পালিত হয়ে থাকে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা প্রবীণ তারা স্বাভাবিকভাবে  বিউটি কন্টেস্টের প্রতিযোগী বা প্রতিযোগিনী হিসাবে বিবেচিত হবেন এটি একটি মজার অনুষ্ঠান আমরা প্রবীণদের মনের সৌন্দর্য বিচারেই আগ্রহী বিচার্য বিষয়গুলি হল মোটামুটি এইরকমঃ শরীর ও স্বাস্থ্য, বাস্তববোধ, সমাজ ভাবনা, সাংসারিক জ্ঞান, অধ্যাত্ম ও মনন ইত্যাদি বয়স অনুসারে দুটি বিভাগ করা হয় ৬০-৭০ এবং ৭১ ও তদুর্ধে পুরুষ ও মহিলা আলাদা বিভাগ হিসাবে বিবেচিত হন  পুরষ্কার প্রাপকরা প্রবুদ্ধ প্রবীন বা ‘প্রবুদ্ধ প্রবীণা’ হিসাবে বিবেচিত হবেন
অনুষ্ঠান শুরু ঠিক সকাল ১০টায়। সকালে চা, দুপুরে আমিষ বা নিরামিষ মধ্যাহ্ন ভোজ ও বিকালে চায়ের ব্যবস্থা আছে। ১০টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু। আপনারাই অংশগ্রহণ করবেন। তৈরী হয়ে আসুন। সবার সাথে মেলামেশা করুন, নতুন বন্ধুত্ব পাতান। এর মাঝেই আমরা বিচার করে নেব বিকালে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, লটারি ও চা পান তারপর জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ। ৯.৩০ মিঃ –এ নাম রেজিস্ট্রেশন করুন, বিকেল ৪.০০টায় ছুটি
খরচ ১৫০টাকা জনপ্রতি। আমাদের সংস্থার সদস্যের ক্ষেত্রে ছাড়। যারা আসতে আগ্রহী তারা আগাম ফোনে জানান। এসে টাকা দিলেই হবে। আসা বাতিল করলে অবশই তা জানাবেন, না হলে একটা মিল অপচয় হবে।

আরো কিছু জানতে চাইলে ফোন বা মেল করুন।